কিছু কিছু পরিচয় মনে রাখার চেয়ে ভুলে যাওয়ায় ভালো।
Headshot (2016)
ইন্দোনেশিয়ান মুভি দেখার সৌভাগ্য এর আগেও হয়েছে। এর আগে দ্যা রেইড মুভি সিরিজ দেখেছি যেইটার অভিনেতা ছিলেন ইকো উয়াইস। এই মুভিও দেখা তার জন্যই। কারণ দ্যা রেইডে তার অভিনয় ছিল অসাধারণ।
৩ টা মুভি দেখে যা বুঝলাম ইন্দোনেশিয়ার ইন্ড্রাস্টি অ্যাকশন মুভিতে অন্যান্য ৮/১০ টা ইন্ড্রাস্টির চেয়ে অনেক এগিয়ে। অ্যাকশন মুভিকে তারা অন্য পর্যায় নিয়ে গেছে। বিশেষ করে তাদের মুভিতে হ্যান্ড টু হ্যান্ড ফাইট সিন গুলো অসাধারণ হয়ে থাকে। এই মুভিতেও এরকম ফাইট ছিল। কিন্তু কিছু বেপার অতিরঞ্জিত লেগেছ। তাছাড়া মোটামুটি ভালোই ছিল।
**হালকা স্পয়লার**
শুরুতে দেখানো হয় কারা যেন পুলিশকে মেরে এক আসামি কে জেল থেকে পালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী সিনে এক অজ্ঞান ব্যক্তির দেহ সাগরের পারে পাওয়া যায়। তারপর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার সেবা যত্ন করে ডা. আইলিন। প্রায় দুই মাস পর ওই ব্যক্তি কোমা থেকে জাগ্রত হয়। তারপর থেকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। এমনকি নিজের নামও জানে না।
ডা. আইলিন তাকে ইসমাইল নাম দেয়। তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিন মিলমিশ থাকার পর ভালোবাসা হয়। কিন্তু কিছু দিন পর হাসপাতালে কিছু গ্যাংস্টার ইসমাইলের উপর আক্রমণ করতে আসে। সেখান থেকে রক্ষা পাইলেও পরবর্তীতে প্রেমিকা আইলিন কে কিডনাম করে। এক দিকে তার পরিচয় খুঁজে বের করার জন্য হন্ন হয়ে আছে। আবার প্রেমিকাকে কে যেন কিডনাপ করেছে।
তাহলে তার প্রেমিকাকে কি খুঁজে বের করতে পারবে? তার পরিচয় কি ফিরে পাবে? ইসমাইল সাগরের পারে কিভাবে আসছে? প্রথমে জেল থেকে কে পালিয়েছে? দেখতে থাকুন ভালো লাগবে।
ইকো উয়াইস কে দ্যা রেইড থেকেই ভালো লাগে। অসাধারণ অভিনয় করেছিল ওই মুভি সিরিজে। এই মুভিতেও সেই অভিনয় বিদ্যমান ছিল। তার এক্সপ্রেশন গুলো ছিল চমৎকার। অ্যাকশন সিনে তাকে বেশি ভালো লাগে। চেলসি ইসলান যেমন কিউট দেখতে তেমনই অভিনয় ভালো। সানি পাং এর সোয়াগ গুলো দারুণ। অন্যান্য সবাই ভালো ছিল।
অ্যাকশন সিন গুলো ভালো লেগেছে। অতিরঞ্জিত লেগেছে গোলাগুলির সিন গুলো। সিনেমাটোগ্রাফি মোটামুটি। আবার বিজিএম ছিল আগুন। ভালো লেগেছে বিজিএম। আপনারা যারা দেখেছেন জানাতে পারেন আপনাদের অনুভূতি। আর যারা দেখেন নাই তারা যদি অ্যাকশন মুভি পছন্দ করেন তাহলে দেখতে পারেন।
Happy Watching🖤